সাত্যকি






অসুখ, ও একটা ছবির গল্প 


প্রত্যেক অসুখের দিনে 

আমার পাশে দাঁড়ায় আরেকটা ছবি 

আমারই মত কিছুটা,কিছুটা আবার  

আমার মত নয় 

       ধোঁয়াটে গড়নের সেই ছবি

 

পাশের রেলিং ধরে দাঁড়ায় 

বর্ষার জল গায়ে মাখে,মেঘের দিকে চেয়ে হাত নাড়ে 

আমি বিভোর হয়ে দেখি

 

তার গায়ের থেকে আমারই মত একটা গন্ধ আসে 

ঠিক কিসের বুঝে ওঠার আগেই 

চাঁপা রঙের মেঘ এসে দাঁড়ায় বারান্দার কোল ঘেঁষে 

হাসতে হাসতে তার পিঠে চড়ে চলে যায় 

হাওয়ার মত আরেকটা রং জড়িয়ে

 

তখনও দেখি...,দেখতে দেখতে ঘোর ভেঙে যায়

আমি মেঘ দেখি,আলো দেখি,রোদকেও খুব কাছ থেকে দেখি 

কিন্তু,ওদের গায়ে লাগাই না!  



২.

চর্যাপদের অক্ষরে অক্ষরে 



সবাই তো একা থাকি যখন পদচারণ শুনতে পাই ঘড়ির কাঁটার 

ঠিক তখন মশারির মধ্যে আরেকটা হাত নেমে আসে আমার দিকে 

পিঠের কাছে সেই হাত উষ্ণতা আনে না শীত বোঝা যায় না ঠিক... 

 

তবে,সারাদিনের কর্মব্যস্ত ইতিকথার থেকে সারমর্ম বলে যায় চর্যাপদের অক্ষরে অক্ষরে 

খুব নম্র ভাবে সমস্ত কথা শুনে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি 

বিকেলের রোদে উঠনের কোলে হেলান দেওয়ার মত

  

ঘড়ির কাঁটার চলন আরও গম্ভীর হয় তখন 

কিন্তু,গম্ভীর স্বর কোথাও থমকে থাকে 

উচ্চারিত চর্যার কাছে...

                                                        

 ৩.

বালি খেলা 


এখনও যে শব্দরা পিছু ফিরবে ফিরবে বলেও ফেরেনি 

তাদের জন্য এক আনন্দ সন্ধ্যা নিয়ে বসে আছি

রোজ হট্টগোলের মাঝে হুটোপাটা পদচারণের মাঝে 

                  কোথাও নেমে আসেনি 

আমিও হয়ত যেতে পারিনি তাদের কাছে

 

সেই ভেবে এই কৃত্রিম অঙ্কন পথ 

               অলঙ্কার বিহীন 

সাদা আর রুল টানা কাগজের আঙিনায় বসে আছি 

              কয়েকটা আঁচর পড়বে বলে 

অন্ধকার জবজবে হলেও তারা নেমে আসে নি 

ভিজে ঝুলবারান্দা ঘেঁষা আমার এই বৈঠক খানা ঘরে...

 

পথ মুছে গেলে তারাদের পাশে বসে গল্পে মশগুল দেখেছি 

বিস্তৃত এই উঠোনে বালি ঢেলে

মন্তব্যসমূহ